এস.এস.সি পাস করার পর দুইটি অপশন তোমাদের সামনে হাতছানি দিবে
1.এইচ,এস সি /জেনারেল
2.ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
স্বপ্ন
যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এস.এস. সি পাস করার পর আমরা
অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যায় এখন আমি কোথায় পড়ব,কোথায় পড়লে আমার জন্য ভাল হবে,
এখন আমি কি করব। বাবা-মাও হয়ে যায় অনেক বেশি চিন্তিত। তাই পরিচিতি বড়
ভাই-বোন থেকে শুরু করে যারা শহরে কিংবা ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে
তাদের কাছে গিয়ে শুরু হয় মতামত নেয়ার পালা।এখন এলাকার বড় ভাই বা পরিচিত যে
যেই খানে পড়ে বা পড়ছে সে তার মত মতামত দেয়।আপনি মতামত নিবেন সেটার অবশ্যই
প্রয়োজন আছে।তবে হ্যঁা সিদ্ধান্ত নিবেন ভাল ভাবে জেনে শুনে তারপর। একটি
ভুল ডিসিশন হতে পারে আপনার ছেলে বা মেয়ের ক্যারিয়ার ধ্বংসের প্রধান
কারন। তাই আজ
আপনাদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এর জব মার্কেট ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি
সম্পর্কে ধারণা দিব।
আপনারা জানেন বাংলাদেশ সরকারের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারিগরি ও বৃওিমূলক শিক্ষার উপর জোর গুরুত্ব
দিয়েছেন। একটি দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রুপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প
নেই।মূল কথায় আসা যাক ।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপ দুটি -
1.ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
2.বি.এস.সি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
পূর্বেই বলছিলাম কথা বলব ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে
ডিপ্লোমা
করে কোন ডিপার্টমেন্টের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সুবিধা কেমন এবং কোন
ডিপার্টমেন্টের জব মার্কেট কেমন আগে এটা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে
হবে।কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ডিপার্টমেন্ট কে ছোট করে দেখার সুযোগ
নেই।কিন্ত যদি বলি উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা, যদি বলি ভাল জবের কথা
তাহলে অবশ্যই ৩ টি ডিপার্টমেন্টের কথা নিসন্দেহে বলতে হবে
১. সিভিল
২.ইলেকট্রিক্যাল
৩.মেকানিক্যাল
অনেকের
ধারনা পলিটেকনিক থেকে যে কোন একটা ডিপার্টমেন্টে ডিপ্লোমা শেষ করলাম আর
হয়ে গেলাম Sub-Assistant Engineer( উপ-সহকারী প্রকৌশলী)। হ্যঁা উপ-সহকারী
প্রকৌশলী হবা ঠিকই কিন্ত জব লেভেলে কোন ডিপার্টমেন্টের আধিক্য বেশি সেটা
তোমাকে ভাল ভাবে বুঝতে হবে।আমার ডিপ্লোমা শেষ হওয়ার দীর্ঘ ৩ বছরে উপরে
উল্লিখিত ডিপার্টমেন্ট ছাড়া অনন্য ডিপার্টমেন্ট গুলোর জব সার্কুলার ছিল
খুবই সীমিত।এই বছরই তো গত কয়েক দিন আগে BPSC এর অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে
সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ৮৭৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগের সার্কুলার
হয়েছে।
একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর কর্মক্ষেএ গুলো
কোথায় কোথায় তা আমি নিচে উল্লেখ করব ইনশাল্লাহ। যাতে আপনাদের ধারনা আরও
বেশি সুস্পষ্ট হয়।সরকারি জব ছাড়াও আমদের দেশের আরও অনেক স্বনামধন্য
প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে শত শত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী।
একটি
ভ্রান্ত ধারণা আমদের অনেকের মাঝেই আছে যেটা সম্পর্কে আপনাদের সবার জানা
দরকার। মেয়ে মানুষ হলেই নাকি পড়তে হবে আর্কিটেকচার কিংবা কম্পিউটারে। এটাই
নাকি মেয়েদের জন্য সবচেয়ে ভাল ডিপার্টমেন্ট।
মেয়ে
মানুষ বলেই যে আর্কিটেকচার কিংবা কম্পিউটার নিয়ে পড়তে হবে তার কোন
যুক্তিকতা নেই। দীর্ঘ তিন বছরে দেখলাম না সরকারি কোন চাকুরীতে আর্কিটেকচার
এর কোন জব র্সাকুলার হয়েছে। কম্পিউটারের কয়েকটা হয়েছে তবে সেটাও খুব সীমিত।
তাই আমি মনে করি সর্বদিক বিবেচনা করে একজন মেয়ে মানুষের জন্য সিভিল অনেক
ভাল।
সর্বোপরি আপনাদের বলব যদি আপনার ছেলে কিংবা মেয়ে পরিচিত ছোট ভাই বোন সিভিল,ইলেকট্রিক্যাল,মেকানিক্যা ল
এ চান্স পায় তাহলে ডিপ্লোমা করানো উওম হবে বলে আমি মনে করি। তবে সবার
নিজস্ব মতামত চিন্তা-ভাবনা থাকতে পারে সেটা নিতান্ত আপনার ব্যাপার।
সবার জন্য শুভ কামনা।সুখী সমৃদ্ধ আগামীর সোনার বাংলা বিনির্মানে সুগম হোক তোমাদের সবার পথ চলা।
0 Comments
Thank You